Skip to main content

English Retro Tunes

Playlist 1981 Phil Collins - In The Air Tonight 1981 Foreigner - Waiting for a Girl Like You 1983 The Police - Every Breath You Take 1985 Robert Tepper - No Easy Way Out 1986 Kenny Loggins - Danger Zone 1987 Starship - Nothing Gonna Stop Us Now 1988 Belinda Carlisle - Heaven Is A Place On Earth 1987 U2 - With or Without You 1989 Phil Collins - Another Day In Paradise 1989 Elton Jhon - Sacrifices 1998 Modern Talking - You're My Heart, You're My Soul 2014 The Midnight - Gloria 2014 The Midnight - Los Angeles 2016 The Midnight - The Comeback Kid 2016 The Midnight - Sunset 2016 FM-84 - Running In The Night (feat. Ollie Wride) 2018 Thought Beings - Hazy 2018 The Midnight - Lost Boy 2018 Alex & Megan McDuffee - Avenger 2019 Fury Weekend - Thousand Lights (feat. Megan McDuffee) 2019 Ollie Wride - Back To Life 2014 The Midnight - Days of Thunder 2019 Kalax - Dream 2020 Nina - Automatic Call 1983 Tangerine Dream - Love on a Real Train (OST Risky Business)

হুমায়ূন আহমেদ - সম্রাট (Somrat by Humayun Ahmed)

হুমায়ূন আহমেদ - সম্রাট (Somrat by Humayun Ahmed)

হুমায়ূন আহমেদ - সম্রাট 

(Somrat by Humayun Ahmed)

'সম্রাট' কে কি মৌলিক লেখা বলা যাবে? সম্রাটে ভ্যানিয়েল কার্নের লেখা ‘ওয়াইল্ড গীজ' বইটির ছায়া আছে। যদিও ঘটনা এবং চরিত্রবিন্যাস সম্পূর্ণই আমার। অন্য গল্পের ছায়ায় নতুন গল্প লেখার এই প্রবণতার মানে কি? আমি জবাব দিতে পারব না। কিছু কিছু গল্প নানা কারণে ভাল লেগে যায়। ইচেছ করে সেই আসলে আমার মত করে কিছু লিখি। 'অমানুষ' নামে একটি বই ঠিক এই ভাবেই লেখা হয়েছে। যারা অমানুষ পছন্দ করেছেন তাঁরা 'সম্রাট'ও পছন্দ করবেন। এই উপন্যাসের অংশবিশেষ ঈদ সংখ্যা পূর্ণিমায় (১৯৮৮) প্রকাশিত হয়েছিল।
হুমায়ুন আহমেদ
শহীদুল্লাহ হল


জুলিয়াস নিশো একটি ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখলেন। যেন তিনি বিশাল একটা মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে। ফাকা মাঠ। চারদিক ধু-ধু করছে। প্রচণ্ড শীত। হিমেল বাতাস বইছে। তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না, খুব অবাক হচ্ছেন । তিনি কোথায় এসে পড়লেন? হঠাৎ দূরে ঝনঝন করে শব্দ হলো। তিনি শব্দ লক্ষ্য করে এগুচ্ছেন। তার একটু ভয় ভয় করছে। তিনি বেশ ক’বার বললেন - কে ওখানে? কেউ সাড়া দিলো না, তবে একজন কেউ শব্দ করে হেসে উঠলো।
: কে ওখানে? 
: সম্রাট নিশো, আপনি এই নগরীতে কি করছেন? 
: তুমি কে? 
: আমি কেউ না। আমি আপনার একজন বন্ধু। 
: তোমাকে দেখতে পাচ্ছি না কেন? 
: দেখতে পাচ্ছেন না, কারণ আপনার চোখ বাধা। 
নিশো লক্ষ্য করলেন, তাই তো, তার চোখ বাধা। তখন তার মনে হলো এটা স্বপ্ন । এটা সত্যি নয়।
: সম্রাট জুলিয়াস নিশো! 
: বলো।
: আপনি পালিয়ে যান। এক্ষুনি আপনাকে হত্যা করা হবে। ঘাতকরা আসছে। তাদের পায়ের শব্দ কি আপনি পাচ্ছেন না?
: পাচ্ছি।
: তাহলে পালাচ্ছেন না কেন?
জুলিয়াস নিশো পালাবার চেষ্টা করলেন। পারলেন না তার পা লোহার শিকলে বাঁধা। পালাবার কোনো পথ নেই। জুলিয়াস নিশো স্বপ্নের মধ্যেই চেঁচিয়ে উঠলেন - আমার পায়ের শিকল কেটে দাও। দয়া করে আমার পায়ের শিকল কেটে দাও। তার ঘুম ভেঙে গেলো। ঘড়ি দেখলেন—রাত দুটো দশ। চারদিকে গভীর নিশুতি। ঝিঁঝিঁর ডাক ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই।
ঘামে তার শরীর ভিজে গেছে। তৃষ্ণায় বুক শুকিয়ে কাঠ। স্বপ্নের ঘোর তার এখনো কাটে নি। এরকম ভয়াবহ একটি স্বপ্ন হঠাৎ করে কেন দেখলেন? কি কারণ থাকতে পারে? তিনি ছোট্ট একটি নিঃস্বাস ফেললেন। মনে মনে বললেন—আমার মন বিক্ষিপ্ত এবং খুব সম্ভব আমি কোনো কারণে অসহায় বোধ করছি। সেই কারণেই আবার অবচেতন মন এরকম একটা ভয়াবহ স্বপ্ন আমাকে দেখিয়েছে।
তিনি বিছানা ছেড়ে জানালার কাছে এসে দাঁড়ালেন। পানি খাওয়া দরকার। পানির তৃষ্ণা হচ্ছে। অথচ জানালার পাশ থেকে সরে আসতে ইচ্ছে করছে না। বাইরে কি চমৎকার তারাভরা আকাশ। তার স্বপ্নের সঙ্গে এই আকাশের কোনো মিল নেই। জুলিয়াস নিশো আবার একটি নিঃশ্বাস ফেললেন আর ঠিক তখন দরজায় নক হলো, মৃদু নক। যেন কেউ খুব আলতো করে দরজায় হাত রেখেছে।
: কে? 
: মিস্টার জুলিয়াস নিশো? 
: হ্যাঁ। 
: দরজা খুলুন। আপনার সঙ্গে জরুরি কথা আছে । 
: রাত দুপুরে? 
: হ্যা। 
: আপনার পরিচয় জানতে পারি? 
: দরজা খুলুন।
তিনি দরজা খুললেন। যে লোকটিকে তিনি দেখলেন, তার গায়ে সামরিক পোশাক। কাঁধের ব্যাজে দুটি আড়াআড়ি বর্শা। জুলিয়াস নিশো লোকটির পদবি ঠিক বুঝতে পারলেন না । জায়ার সেনাবাহিনীর চিহ্ন তিনি এখনো ঠিক বুঝতে পারেন না।
: আপনাকে বিরক্ত করার জন্যে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। কিন্তু কোনো উপায় নেই। আপনাকে আমার সঙ্গে আসতে হবে।
: কোথায়? 
: আমি জানি না কোথায়।
জুলিয়াস নিশো ছোট্ট একটি নিঃশ্বাস ফেললেন। রাত আড়াইটায় সেনাবাহিনীর একজন অফিসার তাঁর মতো একজন অসুস্থ বৃদ্ধের ঘুম ভাঙিয়ে বলবে—আপনাকে আমার সঙ্গে আসতে হবে? এবং তিনি জানতেও পাবেন না কোথায়? জুলিয়াস নিশো হালকা গলায় বললেন—কোথায় যেতে হবে?
: আমি জানি না মি, নিশো।
: জানলেও তুমি বলতে না। তুমি করে বলছি, কিছু মনে করছে না। তো?
: আমি কিছুই মনে করি নি। 
: সঙ্গে ব্যবহারিক জিনিসপত্র নেবে? 
: কিছুই নেবার প্রয়োজন নেই। শুধু আপনার ওষুধগুলি নিয়ে নিন।
জুলিয়াস নিশো মৃদু স্বরে বললেন- যে মেয়েটি আমার দেখাশোনা করে তার কাছ থেকে বিদায় নিতে চাই। আমার মনে হয় আমি আর ফিরে আসবে না। মনে হচ্ছে, এটা ওয়ান ওয়ে জার্নি।
: মি. নিশো, কারো কাছ থেকে বিদায় নেবার মতো সময় আমাদের নেই।
: মেয়েটিকে আমি নিজ কন্যার মতো দেখছি।
লোকটির মুখের একটি পেশীও বদলালো না। জুলিয়াস নিশো মনে মনে তার প্রশংসা করলেন। লোকটি ভালো সৈনিক।
: আমি যদি ওর জন্যে কোনো উপহার রেখে যাই, সেটা কি ওর হাতে পৌছবে? 
: নিশ্চয় পৌছবে।
তুমি কথা দিচ্ছ? : হ্যাঁ, কথা দিচ্ছি। যা করবার তাড়াতাড়ি করুন।
তিনি একটি থামে কয়েকটি নোট ভরলেন—খামের ওপর গোটা গোটা করে লিখলেন “ক্যারী, যা ছিল, তোমাকে দিয়ে যাচ্ছি। এ টাকায় তুমি তোমার ছেলেমেয়েদের নিয়ে সুইজারল্যান্ড থেকে ঘুরে এসো। আমার বন্দী শনের শেষ ক'টি দিন তোমার ভালোবাসায় সুস্থ হয়েছিল। পরম করুণাময় ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন।”
নোটটি তার পছন্দ হলো না। তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না। কাজেই 'ঈশ্বর' শব্দটি ব্যবহার করা ঠিক হয় নি।
অফিসারটি বললো—দেরি হচ্ছে। আমাদের হাতে সময় বেশি নেই। 
জুলিয়াস নিশো বললেন—তোমার নাম জানতে পারি?
: আমার নাম জানার প্রয়োজন আছে কি?
: আছে। একটি পণ্ড অন্য একটি পশুকে নাম ধরে ডাকে না। কিন্তু একজন মানুষ অন্য একটি মানুষকে নাম ধরে ডাকতে চায়।
: আমার নাম মার্কটল।
: মার্কটল, এই খামটি তুমি মেয়েটিকে দেবে। এখানে কিন্তু ইউএস ডলার আছে। এবং তুমি আমার হয়ে মেয়েটির সঙ্গে হ্যান্ডশেক করবে। চল, এখন যাওয়া যাক।
: আপনি গরম কিছু পরে নিন, বাইরে প্রচণ্ড শীত। 
ঘর থেকে বেরিয়ে তাঁদের প্রায় সত্তর গজের মতো হাঁটতে হলো। কনকনে শীতের বাতাস বইছে। চিল ফেষ্টার অনেকখানি নেমে গেছে বোধহয়। কান জমে যাচ্ছে প্রায়। তার কষ্ট হতে লাগলো। বয়স হয়েছে। এই বয়সে কষ্ট সহ্য হয় না। বাইরে কোনো আলো জ্বলছিল না। চারদিক ঘুটঘুট অন্ধকার। তবু তিনি বুঝতে পারলেন, প্রচুর মিলিটারী আমদানি হয়েছে। মিলিটারী আগেও ছিল। তবে এখন অনেক বেশি। তারা চলাফেরা করছে নিঃশব্দে, তবু টের পাওয়া যাচ্ছে।
মাঠের মতো ফাকা জায়গায় একটি আর্মি ট্রান্সপোর্ট হেলিকপ্টার দাড়িয়ে। হেলিকপ্টারের লেজের দিকে একটা লাল বাতি জ্বলছে, নিভছে। একচক্ষু দৈত্যের মতো লাগছে হেলিকপ্টারটিকে। নিশো হেলিকপ্টারের কাছে এসে দাঁড়াতেই তার প্রপেলার ঘুরতে শুরু করলো। নিশো অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন, এই মাঠটিকেই তিনি স্বপ্নে দেখছিলেন। অবশ্যি স্বপ্নের মাঠ আরো বিশাল ছিল এবং এরকম অন্ধাকর ছিল না। চাপা এক ধরনের আলো ছিল যা শুধু স্বপ্নদৃশ্যেই দেখা যায়।
মার্কটল হাত ধরে জুলিয়াস নিশোকে উঠতে সাহায্য করলো। নিশো আন্তরিক ভঙ্গিতেই বললেন—ধন্যবাদ, তুমিও কি যাচ্ছ আমার সঙ্গে?
: না, আমি যাচ্ছি না। আপনার উপহার আমি যথাসময়ে মেয়েটিকে পৌছে দেবো। শুভ যাত্রা।
: যাত্রা কি সত্যি শুভ।
মার্কটল কোনো উত্তর দিলো না কিন্তু জুলিয়াস নিশোকে অবাক করে দিয়ে সামরিক কায়দায় একটি স্যালুট দিলো। একজন নির্বাসিত মানুষকে বিদেশি সেনাবাহিনীর একজন অফিসার কি স্যালুট করে? করে না বোধ হয়। নিশো মার্কিটলের দিকে তাকিয়ে হাতে নাড়লেন।
হেলিকপ্টারের ভেতর নরম আলো জ্বলছে। অন্ধকার থেকে আসার এন্যেই হয়তো এই আলোতেও সব পরিস্কার চোখে পড়ছে। বেটে মতো এক লোক নিশোকে বসবার জায়গা দেখিয়ে দিলো। অত্যন্ত ভদ্র ভঙ্গিতে বললো, আপনার কি ঠাণ্ডা লাগছে?
: হ্যা, লাগছে। 
: এই কম্বলটা গায়ে জড়িয়ে নিন। এক্ষুনি গরম কফি দেয়া হবে। 
: তোমাকে ধনবাদ।
: আপনি তো মাঝে মাঝে ধূমপান করেন। এই চুরুটটি টেস্ট করে দেখবেন? হাভানা চুরুট।
: তোমাকে আমার ধন্যবাদ।
হেলিকপ্টারের ব্লেড ঘুরতে শুরু করেছে। আকাশে উড়বে। দরজা বন্ধ করা হয়েছে। ককপিটে পাইলট বেতারে নিচু গলায় কি সব বলছে। নিশোর গা ঘেঁষে বেঁটে লোকটি দাঁড়িয়ে। নিশো মৃদুস্বরে বললেন—তোমরা কি আমাকে জেনারেল ডোফার হাতে তুলে দিচ্ছ?
: হ্যা। 
: কেন, জানতে পারি।
: না, পারেন না। কারণ আমি জানি না। কারণটা আপনার সরকার এবং জায়ার সরকারের জানার কথা। আমদের জানার কথা নয়। আমার দায়িত্ব হচ্ছে আপনাকে ফোর্টনকে পৌছে দেয়া। 
: জেনারেল ডোফা এখন কোথায় আছেন?
: আলজেরিয়াতেই আছে। দ্বিপাক্ষিক একটি চুক্তির ব্যাপারে তিনি এসেছেন। আজকের খবরের কাগজেই তো আছে। আপনাকে কি খবরের কাগজ দেয়া হয় না?
: না।
: আমি আপনাকে খবরের কাগজ দিতে পারি। আমাদের এখানে “দি আলজিরিয়া মর্নিং' আছে। দেবো?
: না, দরকার নেই। কিছু জানতে ইচ্ছে করছে না ।
জুলিয়াস নিশোকে কফি দেয়ার পরপরই হেলিকপ্টার আকাশে উড়লো। নিশো কফিতে চুমুক দিয়ে চারদিক দেখতে লাগলেন। ভেতরটা বেশ বড়। তিনি এবং বেঁটে লোকটা ছাড়া আরো তিনজন সৈন্য আছে। তারা অটোমেটিক সাব-মেশিনগান হাতে পেছনের দিকে বসে আছে। চোখে চোখ পড়তেই তারা চোখ নামিয়ে নিলো।
নিশো ওদের দিকে তাকিয়ে হাসলেন। ষাট বছর বয়সের একজন অথর্ব বৃদ্ধের জন্য এতো সতর্কতার প্রয়োজন কি? হালকা গলায় বললেন, তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র নামিয়ে রেখে কফি খাও। আমি পালাবো না। হেলিকপ্টার থেকে পালাবার কৌশল আমার জানা নেই।
সৈন্য তিনজন মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলো। বেঁটে অফিসারটি বললো - মি. জুলিয়াস নিশো, আমি ব্যক্তিণকভাবে আপনাকে শ্রদ্ধা করি। আমি আপনার একজন বিশেষ ভক্ত । কিন্তু ....
তিনি হাতের ইশারায় তাকে থামিয়ে দিয়ে সোহেলি ভাষায় ছোট্ট একটা কবিতা আবৃত্তি করলেন। সঙ্গে সঙ্গেই তা ইংরেজিতে অনুবাদ করলেন। কবিতাটির ভাবার্থ হচ্ছে,
"হৃদয় যখন হৃদয়কে বুঝতে পারে না তখনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়।"
অফিসারটি অস্বস্তিতে কপালের ঘাম মুছলো। নিশো বললেন - তোমার নাম এখনো জানা হয় নি। তুমি আমার নাম জানো। আমার অধিকার আছে তোমার নাম জানার।
: আপনি একজন বিখ্যাত ব্যক্তি। আপনার নাম সবাই জানে। আমি একজন অখ্যাত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ।
: আমি কি এই অখ্যাত লেফটেন্যান্ট কর্নেলের নাম জানতে পারি? 
: স্যার, আমার নাম পেয়েরেন । হোসেন পেয়েরেন । 
: পেয়েরেন। 
: বলুন স্যার। 
: তুমি কি বলতে পারো আমাকে হত্যা করা হবে কিনা? 
: মৃত্যুর কথা একমাত্র ঈশ্বরই বলতে পারেন।
জুলিয়াস নিশো চাপা স্বরে হাসলেন। হাসতে হাসতে বললেন— ঈশ্বর নিয়ে আমি চিন্তা করি না । আমার চিন্তা মানুষদের নিয়ে।
পেয়েরেন চুপ করে রইলো। হেলিকপ্টারের পাইলট একটি সাংকেতিক বার্তা পাঠালো, "কালো পাখি তার নীড়ে"। এই সংকেতের অর্থ হচ্ছে সব ঠিকমত এগুচ্ছে। নিশো চোখ বন্ধ করে ফেললেন ক্লান্ত গলায় বললেন — বাতি নিভিয়ে দাও। চোখে আলো লাগছে। আমি ঘুমুবার চেষ্টা করবো। কে জানে, এটাই হয়তো আমার শেষ ঘুম।
বাতি নিভিয়ে দেয়া হলো। ইঞ্জিনের একঘেঁয়ে হুম-হুম শব্দ ছাড়া আর। কোনো শব্দ নেই। চারদিক বিপুল অন্ধকার। হেলিকপ্টার উড়ে চলেছে। আফ্রিকার চির সবুজ অরণ্যের ওপর দিয়ে।
জুলিয়াস নিশো ঘুমুতে চেষ্টা করছেন। কালো সোহেলি আফ্রিকানদের নেতা, প্রবাদপুরুষ নিশো। মুকুটহীন সম্রাট।

Rokomari Link

Comments

Popular posts from this blog

A Comprehensive Business Plan & Forecasts on Labaid Agros Limited

The economy of Bangladesh is highly dependent on the agricultural sector. The contribution on employment and to the GDP of the country, easily establish the sector's dominant presence in the economy. The proposed business plan in this report, attempts to exploit the scopes of the agro-sector and approaches for integration of agro-prospects with the current Labaid operations and enhance profitability of the Group. For this purpose, the study has worked with two projects and made a detailed forecasts on their respective cash flows. The study made a financial feasibility analysis through three most popular capital budgeting tools - net present value, internal rate of return and discounted payback period and the results are found to be in favor of the projects. In the later parts of the business plan, the study approached for identifying the value additions and made an evaluation on the future prospects of the proposed business plan. Bangladesh being an agro based economy - it is ...

Grameenphone Vs Banglalink

Grameenphone vs Banglalink - a case study on the two telecom giants of Bangladesh in consideration of both companies' business challenges, scopes & strategic approaches. by  Mohammad Rashed Us Salam UCSI University, Malaysia  December 2011 This paper conducts a comparative analysis on two major telecom companies of Bangladesh - Grameenphone & Banglalink and Banglalink is found to be the underperforming one in consideration of both companies' financial performance & subscriber base. The recommends few strategic measures for Banglalink in consideration of external industry wise analysis and internal company resource & capability wise analysis. The study revealed the potentials of the unmet demand that is driven from the low-end section of the country who are the most price sensitive. Both Grameenphone & Banglalink show their competencies on the areas of - quality management, service development, competitive pricing, R&D efforts, promotions...

English Retro Tunes

Playlist 1981 Phil Collins - In The Air Tonight 1981 Foreigner - Waiting for a Girl Like You 1983 The Police - Every Breath You Take 1985 Robert Tepper - No Easy Way Out 1986 Kenny Loggins - Danger Zone 1987 Starship - Nothing Gonna Stop Us Now 1988 Belinda Carlisle - Heaven Is A Place On Earth 1987 U2 - With or Without You 1989 Phil Collins - Another Day In Paradise 1989 Elton Jhon - Sacrifices 1998 Modern Talking - You're My Heart, You're My Soul 2014 The Midnight - Gloria 2014 The Midnight - Los Angeles 2016 The Midnight - The Comeback Kid 2016 The Midnight - Sunset 2016 FM-84 - Running In The Night (feat. Ollie Wride) 2018 Thought Beings - Hazy 2018 The Midnight - Lost Boy 2018 Alex & Megan McDuffee - Avenger 2019 Fury Weekend - Thousand Lights (feat. Megan McDuffee) 2019 Ollie Wride - Back To Life 2014 The Midnight - Days of Thunder 2019 Kalax - Dream 2020 Nina - Automatic Call 1983 Tangerine Dream - Love on a Real Train (OST Risky Business)